সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও, যেখানে দাবি করা হচ্ছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও অভিনেত্রী সানি লিওনের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ধরা পড়েছে। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। তবে সত্যিই কি এমন কিছু ঘটেছে, নাকি এটি শুধুই একটি গুজব?
ভিডিওটি প্রথম ছড়িয়ে পড়ে একটি অজানা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। ক্যাপশনে লেখা ছিল, “সানি ও সালমানের বিশেষ মুহূর্ত, দেখুন প্রথমে এখানে!” ভিডিওটি দ্রুত ইউটিউব, ফেসবুক এবং টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে। বহু দর্শক ভিডিওটি দেখে অবাক হন এবং প্রশ্ন তোলেন এর সত্যতা নিয়ে।
এই ঘটনায় সালমান খানের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো বিবৃতি না এলেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া ভিডিও। তারা দাবি করেছেন, ভিডিওটি ডিজিটালি এডিট করা হতে পারে এবং এটি অভিনেতার ব্যক্তিগত ইমেজ ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে।
সানি লিওন এর আগেও এ ধরনের গুজবের শিকার হয়েছেন। এই বিষয়ে এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইন্টারনেটে যা দেখা যায় তার সব সত্যি নয়। মানুষ অনেক সময় ভুয়া ভিডিও বানিয়ে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়।”
বর্তমানে “Deepfake” প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেকেই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের মুখ বসিয়ে ভিডিও তৈরি করছে, যা সাধারণ দর্শকের পক্ষে শনাক্ত করা কঠিন। এই প্রযুক্তির অপব্যবহার সমাজে ভুল বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে এবং একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতীয় আইনে, কারো সম্মানহানি বা ভুয়া ভিডিও ছড়ানো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সাইবার সেল ইতিমধ্যে এই ভিডিও সম্পর্কিত কয়েকটি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের ভিডিও ছড়াচ্ছেন, তাদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার আগে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। সত্যতা যাচাই না করে কোনো কিছু শেয়ার করা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং নিরীহ মানুষদের ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।
সানি লিওন ও সালমান খানের কথিত অন্তরঙ্গ ভিডিও যে সত্য নয়, তা স্পষ্ট। এটি সম্ভবত কোনো ভুয়া বা ম্যানিপুলেটেড ভিডিও। এ ধরনের গুজবে কান না দিয়ে, সঠিক তথ্য যাচাই করা আমাদের সবার দায়িত্ব। একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের সম্মান রক্ষা আমাদের সামাজিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
নিউজ র্যাটর ২৪ ঘণ্টা বাংলার খবর