যে কারনে ইরানকে আবার হুমকি দিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হুমকি দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার (২৭ জুন) তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশটির ওপর আবারও বোমা হামলা চালানো হবে।

ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এলো, যখন মাত্র কয়েকদিন আগেই—গত ২১ জুন—যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ব্যবহৃত হয়েছিল বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান। ওই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমকে স্থবির করা।

হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, “ইরান যদি এখনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যায়, তাহলে কি নতুন করে হামলা চালানো হবে?” উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “অবশ্যই। এটি প্রশ্নাতীত।”

এই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আগে ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এরপর প্রায় ১২ দিন ধরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলে। এই সংঘাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ‘বাজেভাবে মার খাওয়া’ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

সবশেষে, ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “সংঘাত থামানোর জন্য সেটিই ছিল উপযুক্ত সময়।”

ন্যাটো সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প পুনরায় সরাসরি বলেন, “তেহরান যদি আবার পারমাণবিক কার্যক্রম শুরু করে, অবশ্যই আমরা বোমাবর্ষণ করব।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তারা বোমা পাবে না, আর তারা ইউরেনিয়ামও সমৃদ্ধ করতে পারবে না।”

তবে এক্ষেত্রে তিনি ইরানের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেননি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমার ধারণা, শেষ পর্যন্ত আমাদের ইরানের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্য আবারও প্রমাণ করে যে, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়। তবে একইসাথে, সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনা রেখে কূটনৈতিক দিকটিও খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। এখন দেখার বিষয়—তেহরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।

তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply