২৫ বছর পরও কবরে অক্ষত মর‌দেহ উদ্ধার!

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় প্রায় ২৫ বছর আগে দাফন করা এক ব্যক্তির মরদেহ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সরকারি অর্থায়নে নির্মাণাধীন ফকিরের হাট হাফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার ভবনের জন্য মাটি খননের সময় একটি সাদা কাপড় মোড়ানো মরদেহ বেরিয়ে আসে।

জানা যায়, মাদ্রাসার মাঠে ভেকু (এস্কেভেটর) দিয়ে মাটি খননের সময় হঠাৎ মাটি ধসে পড়লে কাপড়ে মোড়ানো মরদেহটি দৃশ্যমান হয়। এরপর স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করেন এবং স্থানীয় আলেমদের পরামর্শ অনুযায়ী সেটি ফকিরের হাট এলাকার একটি সামাজিক কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মরদেহটি বাহের আলীর, যিনি খারুয়ার পাড় গ্রামের আতিম শেখের পুত্র ছিলেন। আতিম শেখ ছিলেন ফকিরের হাট হাফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার জমিদাতা এবং প্রতিষ্ঠানটির দপ্তরির দায়িত্বও পালন করতেন। প্রায় ২৫ বছর আগে তাঁর মৃত্যু হলে মাদ্রাসার পেছনের একটি স্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে চিলমারী মডেল মসজিদের খতিব হাফেজ মামুনুর রশীদ বলেন, “হাদিস ও নবী-রাসূলদের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে জানা যায়, যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও শহীদী মর্যাদা পায় তাদের লাশ অক্ষত অবস্থায় থাকে। তবে কেউ অক্ষত অবস্থায় থাকলেই তিনি আল্লাহর প্রিয় বান্দা – এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না। এ ব্যাপারে একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।”

ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা স্থানীয় বাসিন্দা লিটন মিয়া, শহিদুল ইসলাম ও মোসলেম উদ্দিন জানান, বাহের আলী ছিলেন এলাকার অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁর মরদেহের এই অক্ষত অবস্থায় পাওয়া তাঁদের মধ্যে এক ধরণের ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতা তৈরি করেছে।

২৫ বছর আগে দাফন করা একটি মরদেহের অক্ষত অবস্থায় পাওয়া নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এই ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে ধর্মীয় চেতনা ও আত্মজিজ্ঞাসার আবহ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে ঘটনাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় – মৃত্যুর পর আমাদের কাজ ও বিশ্বাসই আমাদের প্রকৃত অবস্থান নির্ধারণ করবে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply