দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দাবি করেছে, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্পদের সঠিক তথ্য গোপন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।
দুদক জানিয়েছে, শেখ হাসিনা নির্বাচনী হলফনামায় এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং তিন কোটি ৪৭ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। অথচ কমিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ওই সময়ে শেখ হাসিনার স্থাবর সম্পদ ছিল ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য আড়াল করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
দুদক চেয়ারম্যান জানান, নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘনের কারণে শেখ হাসিনার প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ছিল না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দুদক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা টানা চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে গত বছরের জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার আমলে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠলেও ২০০৮ সালের নির্বাচন সাধারণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। এবার সেই নির্বাচনের হলফনামা ঘিরেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
দুদকের সাম্প্রতিক এই অভিযোগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। দেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিকদের জবাবদিহিতা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ
নিউজ র্যাটর ২৪ ঘণ্টা বাংলার খবর